দুপচাঁচিয়া উপজেলার পটভূমিঃ
পুন্ড্রবর্ধনখ্যাত ঐতিহাসিক বগুড়া জেলা ত্রয়োদশ শতাব্দীর বাংলার শাসনকর্তা সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র নাসির উদ্দিন বোগৃরা খানের নামানুসারে বগুড়ার নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৮২১ সালে একে জেলা সদর হিসাবে ঘোষণা করা হয়। বগুড়া জেলার ১২ টি উপজেলার মধ্যে জেলা সদর থেকে পশ্চিমে ২০ কি:মি: দূরে ২৪০৫০র্-২৪০৬০র্ উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯০৫র্-৮৯০১৫র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে দুপচাঁচিয়া উপজেলার অবস্থান। নাগর নদীর পশ্চিম পার্শ্বে দুপচাঁচিয়া থানার অবস্থান। থানার নামকরণ কখন, কিভাবে হয়েছিল সে বিষয়ে ইতিহাস সমর্থিত কোন তথ্য প্রমানাদি পাওয়া না গেলেও এ থানার নামকরণ বিষয়ে প্রবীণ ব্যক্তিরা বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। এ থানায় এক সময় তাঁত শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছিল। তখন ‘ধূপছায়া’ নামে এক ধরণের উন্নতমানের দামী তাঁতের শাড়ি তৈরী হতো। এই ‘ধূপছায়া’শাড়ী হতেই এ থানার নাম হয় ধূপছাঁচিয়া।
পরবর্তীকালে ব্রিটিশ শাসনামলে তাঁত শিল্পকে গুরম্নত্ব দিয়েই দুপচাঁচিয়া সদরে তাঁত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে ওঠে, যা সরকার নিয়ন্ত্রিত ছিল। উক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রথমে বাঙ্গালী খ্রিষ্টিয়ানগণ প্রশিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে মুসলমান প্রশিক্ষক উক্ত তাঁত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চাকুরি করতেন, তাদের বংশধর এখনো দুপচাঁচিয়ায় রয়েছেন।
আবার কেউ কেউ বলতেন, এককালে হিন্দু প্রধান এলাকা হিসাবে এখানে প্রচুর ধোপী (ধোপা) শ্রেণির লোক বাস করতেন। সদরের পাইকপাড়া থেকে মাঝিপড়া হয়ে মহলদার পাড়ার মধ্য দিয়ে দুপচাঁচিয়া পাইলট হাই স্কুলের পশ্চিম ও দক্ষিণ পার্শ্বে মরাগাংগী নামক খাল ছিল। ধোপারা এখানে তাদের কাপড় ধোয়া ও শুকানোর কাজ করতেন। এই ধোপী বা ধোপা কথাটি থেকেই কালক্রমে এই এলাকার নামকরণ হয়েছে ধোপচাঁচিয়া।
অনেকে কলেন প্রাচীনকালে এ এলাকায় ধূপের চাষাবাদ ছিল। তা থেকে ধূপচাঁচিয়া। যা পরবর্তীতে দুপচাঁচিয়া নামে পরিচিতি পায়।
১৫৪৫ খ্রিষ্টাব্দে শের খাঁর আমলে ভূমি জরিপ ও মৌজার নামকরণ প্রথম শুরম্ন হয়। তখন থেকেই দুপচাঁচিয়া মৌজার সৃষ্টি হয়েছে বলে কথিত রয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS